শিবলীর গোটা বাড়িই শিশুদের ছবি আঁকার পাঠশালা,শখের বসে ছবি আঁকতে গিয়ে আর্টের শিক্ষক হয়েছেন কুড়িগ্রামের আশেক হাবিব শিবলী। ৩০ বছর আগে তার নিজের হাতের আঁকা একটি ছবি চিত্র প্রতিযোগিতায় প্রশংসা কুড়ান। সেখান থেকে আরও আগ্রহী হয়ে ওঠেন শিবলী।এরপর থেকে শুরু করেন ছবি আঁকা ও নিজ বাড়িতে শিশুদের ছবি আঁকা শেখানোর কাজ। ধীরে ধীরে তার বাড়িটাই হয়ে উঠেছে শিশুদের ছবি আঁকার পাঠশালা।
শিবলীর গোটা বাড়িই শিশুদের ছবি আঁকার পাঠশালা
কুড়িগ্রাম জেলা শহরের সরদার পাড়া এলাকায় গেলে দেখা মিলবে, শিল্প তরু নামের এই বাড়িটির। সাইনবোর্ডে লেখা ছবি আঁকা শেখানো হয়। ভেতরে গেলেই দেখা মিলবে বাড়ির একটি রুমে কার্পেটের ওপর বসে ছবি আঁকতে ব্যস্ত কোমলমতি শিশুদের। মাঝে বসে আছেন আর্টের শিক্ষক আশেক হাবিব শিবলী। শিশুরা আর্টের নানা উপকরণে প্রকৃতিসহ নানা বিষয়ের ছবি এঁকে
নিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষকের কাছে। ছবি আঁকতে ভুল হলে সংশোধন করাসহ কৌশল শিখাচ্ছেন শিক্ষক। আবার শিশুদের ক্লান্তি ঘোচাতে গিটার হাতে গানও শোনান এ শিক্ষক। এখানে আসা শিশুরা জানান তাদের ছবি আঁকা ও ভালোলাগার অনুভুতির।
আশেক হাবিব শিবলীর বাড়িতে ছবি আঁকতে আসা নুসাইবা জান্নাত নুহা, খালিদ ওয়ালিদ ও সিয়াম জানায়, বিদ্যালয়ে লেখাপড়ার
পাশাপাশি সপ্তাহে দুদিন করে এখানে ছবি আঁকতে আসে তারা। পরম যত্নে তাদের ছবি আঁকা শেখান শিক্ষক। এখানে এসে ছবি আঁকাটা তাদের কাছে আনন্দের বলে জানায় শিশুরা।এই চিত্র শিল্পীর সঙ্গে তার নিজ বাড়ির পাঠশালায় কথা হলে শখ থেকে শিল্পী হয়ে ওঠার গল্প শোনান তিনি। আর এ কাজে শিশুদের অকৃত্রিম ভালোবাসা ও সিক্ততার জানতে চাইলে আবেগে আপ্লুত
হয়ে পড়েন তিনি।আর্টের শিক্ষক আশেক হাবিব শিবলী বলেন, ‘শিশুদের নিয়ে কাজ করার মাঝে যে আনন্দ সেটা বোঝানো সম্ভব নয়। এটা এক প্রকারের নেশায় পরিণত হয়েছে। যতদিন বেঁচে থাকব, এই শিশুদের ছবি আঁকা শেখাতে চাই। কেন না রঙ তুলির আচড়ে আঁকা ছবিরও একটি বিশেষ ক্ষমতা আছে।’আর্টের শিক্ষক আশেক হাবিব শিবলী ১৯৬৫ সালে রংপুরে জন্মগ্রহণ
করলেও ৩০ বছর আগে কুড়িগ্রামের এসে সরদারপাড়ায় স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। বর্তমানে তার পাঠশালায় শিশু শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৭০ জন। তিনি স্থানীয় শিশু নিকেতনে বিদ্যালয়ে ১৮ বছরের ধরে আর্টের শিক্ষকতা করছেন।
আরও পড়ুন:
