কুড়িগ্রামে ১৪৪ ধারা – কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার সোনাহাট স্থলবন্দরে আমদানি-রফতানিকারক সমিতির আহ্বায়ক কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুটি গ্রুপ একই স্থানে সভা আহ্বান করায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
বিএনপির দুগ্রুপের পাল্টাপাল্টি সমাবেশ, কুড়িগ্রামে ১৪৪ ধারা
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সকাল ৮টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত উপজেলার সোনাহাট স্থলবন্দর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন। ভূরুঙ্গামারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোলাম ফেরদৌস স্বাক্ষরিত এক পত্রে ওই আদেশ জারি করা হয়।
উপজেলা প্রশাসনের জারি করা পত্রে জানা যায়, সোনাহাট স্থলবন্দরে আমদানি-রফতানিকারক সমিতির কমিটি গঠন নিয়ে স্থলবন্দরের একই স্থানে সভার আহ্বান করে দুটি গ্রুপ। এতে উত্তেজনা বিরাজ করে। যে কোনো অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি এড়াতে ভূরুঙ্গামারী উপজেলা জুড়ে ১৪৪ ধারা বলবৎ থাকার কথা জানানো হয়।

এ সময় ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় সব ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র বহন ও প্রদর্শন, লাঠি বা দেশীয় কোনো অস্ত্র বহন বা প্রদর্শন, যে কোনো ধরণের মাইকিং বা শব্দযন্ত্র ব্যবহার, পাঁচ বা তার অধিক ব্যক্তির একত্রে চলাফেরা, সভা-সমাবেশ, মিছিল ইত্যাদি নিষিদ্ধ থাকবে। এ আদেশ অমান্যকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানানো হয়।
স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা জানান, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক একেএম ফরিদুল হক শাহিন শিকদারের নেতৃত্বে ব্যবসায়ীদের একটি অংশ সোনাহাট স্থলবন্দর আমদানি রফতানিকারক সমিতির এক জরুরি সাধারণ সভায় অংশ নিয়ে বুধবার (২৭ নভেম্বর) বিকেলে ৯ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে।
এই খবরে কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির একটি গ্রুপ বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী নিয়ে বুধবার রাতে সোনাহাট স্থলবন্দরে এসে আজ বৃহস্পতিবার নতুন কমিটি গঠনের ঘোষণা দেন এবং একই স্থানে সভা আহ্বান করেন। এ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা দেখা দেয়। সংঘাত এড়াতে ও শান্তিশৃঙ্খলারক্ষায় উপজেলা প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করে।
ভূরুঙ্গামারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোলাম ফেরদৌস জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকেই এ আদেশ কার্যকর করা হয়। বৃহস্পতিবার রাত ১২টা পর্যন্ত এ আদেশ বলবৎ থাকবে। ওই সময় উল্লেখিত স্থানের মধ্যে কোথাও কোনো ধরণের সভা-সমাবেশ করা যাবে না। এ আদেশ অমান্যকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
